শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও কারিগরি শিক্ষাকে আরও আধুনিক করার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে শনিবার সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো ‘ইনস্টিটিউট লেভেল স্কিলস কম্পিটিশন ২০২৫’। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অ্যাসেট (ASSET) প্রকল্পের অর্থায়নে এবং পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত এই দিনব্যাপী প্রতিযোগিতাটি তরুণ উদ্ভাবকদের জন্য এক বিশাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে করেছে।
এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যবহারিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা, নিত্যনতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে তাদের ধারণা স্পষ্ট করা এবং সৃজনশীল প্রকল্প তৈরির মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করা। দিনভর বিভিন্ন টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা অত্যাধুনিক প্রকল্পগুলো প্রদর্শন করে, যা দর্শক ও অতিথিদের মুগ্ধ করে তোলে।
প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও আলোচনা সভাটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্দীপক।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তিনি তার বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান নয়, ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জনই আজকের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তিনি শিক্ষার্থীদের আরও বেশি করে উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগানোর এবং কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চ আলোকিত করেন দুজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব:
১. ইঞ্জিনিয়ার মো. আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক পরিদর্শক, আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়, বরিশাল: তিনি কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে অ্যাসেট প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রতিযোগিতার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।
২. মো. এনামুল হক রাকিব, সংযুক্ত কর্মকর্তা (শাখা-৭), কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর: তিনি প্রতিযোগিতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
সভাপতির আসন অলংকৃত করেন পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. দ্বীন ইসলাম খান। তিনি তার সমাপনী বক্তব্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সকল শিক্ষার্থীকে সাধুবাদ জানান এবং সফলভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি প্রত্যাশা করেন, ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে আরও দক্ষ জনশক্তি বেরিয়ে আসবে।