নেপালে আজব অভ্যুত্থান: ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক স্ট্যাটাসে সারাহ খান
নেপালে ছাত্রদের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক রূপান্তরকে ঘিরে বাংলাদেশের জনপ্রিয় গণমাধ্যমকর্মী সারাহ খান নিজের ফেসবুক ওয়ালে ব্যঙ্গাত্মক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার বক্তব্যে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার চিরচেনা অভ্যুত্থান সংস্কৃতি বনাম নেপালের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের এক ব্যতিক্রমী ছবি।
সারাহ খানের ভাষায়, “ধুর! এ কেমন আজব অভ্যুত্থান রে বাবা! ছাত্ররা উপদেষ্টা হলো না, রাজনৈতিক দল বানালো না—চুপচাপ ক্লাসে ঢুকে গেল।” তিনি বিদ্রূপ করে উল্লেখ করেন, সাধারণত অভ্যুত্থানের সময় সচিবালয়, আদালত, মিডিয়া অফিস দখল, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর, কিংবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গণপিটুনি দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ড দেখা যায়। কিন্তু নেপালের ছাত্র আন্দোলনে এসবের কিছুই ঘটেনি।
তিনি আরও লেখেন, কোনো “সেপ্টেম্বর কোটা” চালু হয়নি, চাকরি ছিনতাই হয়নি, এমনকি “সেপ্টেম্বর জাদুঘর”ও তৈরি হয়নি। সাধারণত রাজনৈতিক আন্দোলনের পর ক্ষমতার ভাগাভাগি বা লুটপাট দেখা যায়, কিন্তু নেপালের ছাত্ররা উল্টো জাতির কাছে ধ্বংসযজ্ঞের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে এবং দ্রুত ছয় মাসের মধ্যে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের দাবি তুলেছে।
সারাহ খান কৌতুক করে মন্তব্য করেন, “অভ্যুত্থানের ইজ্জতই নেপালি জেন-জি রা মাটি করে দিলো… 🤦♂️ ধ্যাত, তোদের ক্ষমা নাই ফ্রম বাংলাদেশ জেনজী।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, নেপালের এই শান্তিপূর্ণ রূপান্তর আসলে নতুন প্রজন্মের পরিণত রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং অহিংস পথের প্রতি আস্থার প্রতিফলন। অন্যদিকে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা মানুষকে আন্দোলন মানেই সহিংসতা, দখলদারি বা ভাগাভাগির চিত্রের সঙ্গে অভ্যস্ত করেছে।
সারাহ খানের এই ব্যঙ্গাত্মক স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ এটিকে তির্যক হাস্যরস হিসেবে নিয়েছেন, কেউবা এটিকে নতুন প্রজন্মের জন্য ইতিবাচক শিক্ষা হিসেবে