মফিজুর রহমান ,পেকুয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের লালজান পাড়া–রব্বত আলী পাড়া সড়কটির বেহাল দশা দীর্ঘ দুই দশক ধরে। প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই স’ড়কটিতে সর্বশেষ সংস্কার কাজ হয়েছিল ২০০৫ সালের শেষের দিকে।
এরপর থেকে আর কোনো উ’ন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বর্তমানে সড়কটি এতটাই খারাপ যে, কোথাও কোথাও ইট উঠে গিয়ে কাঁচা সড়কে পরিণত হয়েছে, কোথাও আবার সড়ক ও ফসলি জমির মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন লালজান পাড়া, রব্বত আলী পাড়া, টেকঘোনা পাড়া, রায়বাপের পাড়া, মৌলভীপাড়া, বামলুর পাড়া এবং টইটং ইউনিয়নের পশ্চিম নাপিতখালীর কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এর মধ্যে রয়েছে শত শত স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষক ও সাধারণ জনগণ।
একসময় এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চললেও বর্তমানে সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে ভরা সড়কটি এখন জনদুর্ভোগের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সবুজ বাজার, ইউনিয়ন পরিষদসহ একাধিক শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের মাধ্যম এই সড়ক।
অথচ এখানকার মানুষকে প্রতিদিন কাদা মাড়িয়ে চলতে হয়। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীদের জন্য এটি যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা। শিক্ষার্থী তামিম ও মুনতাহা বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাই। বৃষ্টির দিনগুলোতে পড়নে কাদা, বই-খাতাও ভিজে যায়। রাস্তাটা ঠিক হলে আমাদের অনেক সুবিধা হতো। সড়কে ইট উঠে যাওয়ায় এখন হাঁটতেও বেগ পেতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রমিজ উদ্দিন ও নাহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটার অবস্থা এতই খারাপ যে, মাঝে মাঝে মনে হয় এটা রাস্তা না, দুর্ভোগের কেন্দ্রবিন্দু।কখন উন্নয়ন হয়েছে আমাদের জানা নেই। বছরের পর বছর ধরে আমাদের দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু কেউ কর্ণপাত করে না। প্রতিশ্রুতি মেলে, কাজ হয় না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম রহমান বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেও বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে জানিয়েছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষ উ’দ্যোগ নিলে এই স-ড়কটি সহজেই সংস্কার করা সম্ভব।
স্থানীয়দের দাবি, লালজান পাড়া থেকে রব্বত আলী পাড়া পর্যন্ত স-ড়কটি পুনর্নির্মাণ হলে টইটংয়ের নাপিতখালী হয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার বিকল্প পথ খুলে যাবে। বর্তমানে ঘুরে যাতায়াত করতে হয় অন্তত ৬–৭ কিলোমিটার বেশি পথ। এ কারণে দ্রুত সড়কটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছেন ভু’ক্তভোগীরা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পেকুয়ার প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ জানান, ওই সড়কের জন্য আমরা গত বিশ দিন আগে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।