জন্মের পর যদি কথা বলতে পারতাম, তবে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর পর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারুণ্যের অহংকার জনাব তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করতাম।
আজ হৃদয়ের অনেক কষ্ট নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।
২০০৮ সাল থেকে আজ অবধি প্রায় ১৭ বছর ধরে শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করে যাচ্ছি। এই দীর্ঘ পথ চলায় একজন নেতাকে দেখে মনে হয়েছে, তিনিই আমাদের সময়ের সেই আদর্শবান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব—তিনি জননন্দিত জননেতা জনাব হাসান মামুন ভাই।
২০০৮ সালে পাতাবুনিয়া স্কুল মাঠে যখন এমপি নির্বাচনের জনসভা হয়েছিল, সেদিন মঞ্চে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। আমি তাঁকে প্রথম দেখি মাঠ থেকে হাত নাড়িয়ে মঞ্চের দিকে আসতে। তখনই তাঁর প্রতি এক ধরনের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জন্ম নেয়। সেদিন থেকে আজ অবধি তাঁর আদর্শ, তাঁর ত্যাগ, মানুষের প্রতি ভালোবাসা আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে আসছে।
আজ আমি আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমান ভাইয়ের প্রতি একান্তভাবে আবেদন জানাই—
গলাচিপা-দশমিনার হাজারো গরীব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের পক্ষ থেকে অনুরোধ, এই জননেতা জনাব হাসান মামুন ভাইয়ের কোনো বিকল্প হতে পারে না।
এই নেতার নামে চরিত্রহীন ব্যক্তি অপপ্রচার চালাচ্ছে।”বিকাশ নুর” ওরফে “নুরু পাগলা” নামক ব্যক্তি যিনি মানুষের কাছ থেকে বিকাশে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেন, তিনিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসান মামুন ভাইকে নিয়ে বাজে কথা ছড়াচ্ছেন। অথচ এই বিকাশ নুরের পরিচয় শুধু এখানেই নয়—তিনি আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের লোকজনকে নিয়ে গন অধিকার কমিটি বানাচ্ছেন। যারা একসময় আমাদের অফিসে হামলা করেছিল, তারাই আজ তার কমিটিতে!
একজন প্রতারক, ভুয়া নেতা কখনোই জননেতা হাসান মামুন ভাইয়ের ধারে-কাছেও আসতে পারবে না—এই বিশ্বাস আমার, আমাদের, এবং গলাচিপা-দশমিনার প্রতিটি মানুষের।
আমরা একমত—হাসান মামুন ভাইয়ের বিকল্প নেই।
তিনি আমাদের ভরসা, আমাদের নেতা, আমাদের আত্মার আত্মীয়।
তাঁকে বাদ দিয়ে রাজনীতি মানে গলাচিপা-দশমিনাকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া।
ইতি,
মোঃ রিয়াজ আকন
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক
বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদল।
গলাচিপা পটুয়াখালী