নোয়াখালী সংবাদদাতা
নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার ৩নং সুখচর ইউনিয়নের পশ্চিমাংশে নবগঠিত চর” চর জাগলায় জমি বরাদ্দের আশ্বাস দিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে জনপ্রতি১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এলাকা বাসীর দাবি এই চাঁদাবাজি পরিচালনা করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অনুযায়ী, জমির কোন সরকারি বরাদ্দ, বা অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও কিছু ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে চর জাগলায় জমি বরাদ্দের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, নিজাম ডাকাত, স্থায়ীভাবে পরিচিত একজন ভুমিদস্যু এবং আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী, এবং বর্তমান ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার।
তার ভাতিজা ফিরোজ ডাকাত, এনসিপি নেতা ঈসমাইল মোল্লা, জলদস্যুদের এবং ভূমি দস্যুদের অন্যতম ডাকাত এবং লিডার আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী এবং বর্তমান আওয়ামী লীগের মেম্বার, এবং সুখচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এনায়েত হোসেন সেলিম।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে এই চক্রটি প্রতিনিয়ত নতুন চর এলাকায় সাধারণ মানুষকে প্রভোলনে ফেলে অর্থ আদায় করে। জমি বরাদ্দের নামে প্রাপ্ত অর্থের কোন রশিদ বা প্রমাণ পত্র প্রদান করা হয় না। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে হুমকি – ধামকি ও সামাজিক ভাবে হেয় করার ঘটনা ও ঘটেছে। একজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের কে বলা হয়েছে এই চর সরকারি হবে না, আমরা যার আগে টাকা নিব, সে আগে দখল নিতে পারবে। আমরা গরিব মানুষ, ভেবেছি হয়তো কিছু জমি পাবো তাই টাকা দিয়েছি।
এব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি। তবে স্থানীয় সুশীল সমাজ ও নাগরিকরা দ্রুত তদন্ত পূর্বক এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সাবেক একজন ইউপি সদস্য বলেন, চর জাগলার জমি এখনও সরকারি খাস জমির আওতায় আছে কি না, তা নির্ধারণ না করেই যারা টাকা নিচ্ছেন, তারা প্রতারণা করছেন। প্রশাসনের এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ভুমি অফিস ও স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।